প্রত্যয় নিউজডেস্ক: সত্তরের দশকে বর্ণবাদের কারণে পুরো দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ ছিল ২২ বছর। ফলে নির্বাসন বা নিষেধাজ্ঞার অভিজ্ঞতা কেমন তা বেশ ভালোভাবেই জানে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট। কিন্তু তাতেও যেনো শিক্ষা হয়নি দেশটির শীর্ষস্থানীয় ক্রীড়া সংগঠকদের।
কেননা এবার তারা এমন এক কাজ করেছে, যা কি না আবারও বড়সড় নিষেধাজ্ঞার মুখে ঠেলে দিতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটকে। দেশটির স্পোর্টস ফেডারেশন এবং অলিম্পিক বডি সম্মিলিতভাবে এক মাসের জন্য স্থগিত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডকে।
অর্থাৎ আগামী এক মাস দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট পরিচালনা করবে দক্ষিণ আফ্রিকা স্পোর্টস ফেডারেশন ও অলিম্পিক বডি। যা কি না সরাসরি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) নিয়মের পরিপন্থি। আইসিসিতে স্পষ্ট বলা আছে, কোনো দেশের ক্রিকেট বোর্ডে, দেশটির সরকার হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। অর্থাৎ ক্রিকেট বোর্ড থাকবে স্বতন্ত্র।
কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা স্পোর্টস ফেডারেশন এবং অলিম্পিক বডির পক্ষ থেকে এক চিঠির মাধ্যমে দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের সবাইকে নিজেদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি তারা এও জানিয়েছে অচিরেই ক্রিকেট বোর্ডের কর্তাব্যক্তিদের নানান অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত করা হবে।
সেই চিঠিতে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের শীর্ষ কর্তাদের কর্মকাণ্ড মোটেও সন্তোষজনক নয়। তাদের অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার কারণে ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে দেশের মানুষ থেকে শুরু করে খেলোয়াড়, স্পন্সর ও সংগঠকরা। এসবের বিরুদ্ধে তদন্ত করতেই দায়িত্ব নিচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা স্পোর্টস ফেডারেশন এবং অলিম্পিক বডি।
দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার পর্যায়ের সংগঠন দুটি এমনটা ভালো মনে করলেও, আইসিসির গাইডলাইন অনুযায়ী চোখরাঙানি দিচ্ছে বড়সড় শাস্তিই। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড কিংবা আইসিসির সঙ্গে যোগাযোগ করতে চেষ্টা করেও সফল হয়নি। ফলে জানা যায়নি, কেমন হবে আইসিসির পরবর্তী পদক্ষেপ।